মুক্তি যুদ্ধে উলামায়েকরামদের অবদান
স্বাধীনতা যুদ্ধে উলামায়ে কেরামের অবদান।
(পর্বঃ ২)
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
৭১’ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক উলামায়ে কেরামই ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের সিপাহসালার। বাংলাদেশের বিখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ কওমী ওলামাদের শীরমনি আল্লামা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর (রাহ.)ও মাওঃ এমদাদুল হক আড়ইহাজারী অন্যতম, সে সময় তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন,“এ যুদ্ধ ইসলাম আর কুফরের যুদ্ধ নয়,এটা হল জালেম আর মাজলুমের যুদ্ধ"। এ যুদ্ধ ছিলো জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই। পাকিস্তানীরা জালেম আর এ দেশের বাঙ্গালীরা মাজলুম।তাই সামর্থ্যানুসারে দলমত নির্বিশেষে সকলকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে হবে এবং এটাকে প্রধান কর্তব্য বলে মনে করতে হবে”। এ দেশের শ্রেষ্টবুজুর্গ ফেদায়ে মিল্লাত আল্লামা হযরত হোসাইন আহমদ মাদানী (রাহ.) এর বিশিষ্ট খলিফা,আধ্যাত্মিক রাহবার আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্র্র্ণভী ছিলেন আরএকজন দূরদশী সিপাহসালার। তিনি তখন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন এবং বিপদগ্রস্থ বাঙ্গালী মানুষদেরকে সাহায্য- সহযোগীতা করেছিলেন। তৎকালিন সময়ে একবার তিনি আল্লামা আশরাফ আলী ধর্মপুরী রহ.কে ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে ,“ আমি সুর্যের মত ¯স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে,কয়েক দিনের ভিতরেই এ দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে এবং পাকিস্তানী হানাদারের জুলুমের কবল থেকে এ দেশের জনগন মুক্তি লাভ করবে”। সত্যি ভবিষ্যৎবানী বাস্তব হয়েছে।আড়াইহাজার থানার কমান্ডার মরহুম শামসুল হকের অধিনে আল্লামাএমদাদুলক আড়াইহাজারী (রাহ.) মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে যখন আমি লালবাগ মাদরাসার ছাত্র তখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। যুদ্ধ শুরু হলে আমার মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি হাফেজ্জি হুজুর ( রাহ.) কে প্রশ্ন করলাম; হুজুর এ যুদ্ধে আমাদের ভূমিকা বা কর্তব্য কি? তখন হুজুর আমাকে বললেন পাকিস্তানী জালিম হানাদার বাহিনীর জুলুম থেকে এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা অবশ্যই তোমার আমার সকলের কর্তব্য। তাই বসে থাকার সময় নেই ,জালিমদের কবল থেকে মাজলুমদেরকে বাচাঁনোর জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন কর। এ দেশের নিরীহ জনগনকে সহযেগিীতা করা আমাদের ইমানী দায়িত্ব।
-চলবে ইনশাআল্লাহ।মাওলানা আলী হোসাইন জালাল পুরী
(পর্বঃ ২)
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
৭১’ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক উলামায়ে কেরামই ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের সিপাহসালার। বাংলাদেশের বিখ্যাত আলেম ও বুযুর্গ কওমী ওলামাদের শীরমনি আল্লামা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর (রাহ.)ও মাওঃ এমদাদুল হক আড়ইহাজারী অন্যতম, সে সময় তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন,“এ যুদ্ধ ইসলাম আর কুফরের যুদ্ধ নয়,এটা হল জালেম আর মাজলুমের যুদ্ধ"। এ যুদ্ধ ছিলো জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই। পাকিস্তানীরা জালেম আর এ দেশের বাঙ্গালীরা মাজলুম।তাই সামর্থ্যানুসারে দলমত নির্বিশেষে সকলকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে হবে এবং এটাকে প্রধান কর্তব্য বলে মনে করতে হবে”। এ দেশের শ্রেষ্টবুজুর্গ ফেদায়ে মিল্লাত আল্লামা হযরত হোসাইন আহমদ মাদানী (রাহ.) এর বিশিষ্ট খলিফা,আধ্যাত্মিক রাহবার আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্র্র্ণভী ছিলেন আরএকজন দূরদশী সিপাহসালার। তিনি তখন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন এবং বিপদগ্রস্থ বাঙ্গালী মানুষদেরকে সাহায্য- সহযোগীতা করেছিলেন। তৎকালিন সময়ে একবার তিনি আল্লামা আশরাফ আলী ধর্মপুরী রহ.কে ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন যে ,“ আমি সুর্যের মত ¯স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে,কয়েক দিনের ভিতরেই এ দেশ স্বাধীন হয়ে যাবে এবং পাকিস্তানী হানাদারের জুলুমের কবল থেকে এ দেশের জনগন মুক্তি লাভ করবে”। সত্যি ভবিষ্যৎবানী বাস্তব হয়েছে।আড়াইহাজার থানার কমান্ডার মরহুম শামসুল হকের অধিনে আল্লামাএমদাদুলক আড়াইহাজারী (রাহ.) মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে যখন আমি লালবাগ মাদরাসার ছাত্র তখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। যুদ্ধ শুরু হলে আমার মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি হাফেজ্জি হুজুর ( রাহ.) কে প্রশ্ন করলাম; হুজুর এ যুদ্ধে আমাদের ভূমিকা বা কর্তব্য কি? তখন হুজুর আমাকে বললেন পাকিস্তানী জালিম হানাদার বাহিনীর জুলুম থেকে এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা অবশ্যই তোমার আমার সকলের কর্তব্য। তাই বসে থাকার সময় নেই ,জালিমদের কবল থেকে মাজলুমদেরকে বাচাঁনোর জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন কর। এ দেশের নিরীহ জনগনকে সহযেগিীতা করা আমাদের ইমানী দায়িত্ব।
-চলবে ইনশাআল্লাহ।মাওলানা আলী হোসাইন জালাল পুরী
মন্তব্যসমূহ