গাজওয়াতুল হিন্দ এখন আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে

গাজওয়াতুল হিন্দ এখন আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে



📚একটা বিষয় সতত স্বচ্ছ হয়ে গেছে যে উপমহাদেশের হিন্দুরা একটি অখন্ড হিন্দু রাজ্য গঠন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এ অখন্ড হিন্দুরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে বাংলাদেশও। এর জন্য তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতিও গ্রহণ করছে। এবং এ প্রস্তুতি  যে একটি যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে মুসলিমদের বিলুপ্তি ও হিন্দুত্ববাদের রাম রাজ্য গঠনের জন্য তাও দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেছে।

উপমহাদেশের সকল সচেতন হিন্দুরা ভারত রাষ্ট্রের সরকারি তত্ত্বাবধানে সার্বিকভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি, প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে।

আজ থেকে প্রায় দেড় সহস্র বছর আগে আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার উম্মতের শেষদিকে হিন্দুস্থানে সনাতনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের যুদ্ধ "গাজওয়াতুল হিন্দ" এর কথা বলে গিয়েছেন।
সুসংবাদ দিয়েছেন সামগ্রিক বিজয়ের। হিন্দুত্ববাদের বিনাশের। ইসলামের প্রতিষ্ঠার। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে শিরকের আঁধার ঘুছে তাওহীদের আলোকোজ্জ্বল এক অধ্যায়ের। মূর্তি ও প্রতিমার বদৌলতে এক আল্লাহর ইবাদাতের। কাশি ও বৃন্দাবনের নাম নিশানা মুছে আল্লাহর ঘর কা'বামুখী জনতার ঢলের। গঙ্গার জলের পবিত্রতার নামে অশ্লীলতার গল্প ছাপিয়ে জমজমের  সতেজ সজীব অপার্থিব পবিত্রতার জলধারায় শুদ্ধি হাসিলের এক শুদ্ধ গল্পের।

সুসংবাদ দিয়েছেন এ যুদ্ধের গাজীদের, বিজয়ীদের৷ মুক্তির, নাজাতের, জান্নাতের। শহীদদের বলছেন সর্বোত্তম শহীদ।

হাদীসের সুসংবাদের জন্যই আমরা বিশ্বাস করি হিন্দুস্থান আমাদের হবে। ইসলামের বিজয় হবে৷ সকল মালাউন হিন্দুদের আস্ফালন নিঃশেষ হবে চিরতরে।
হাদীসে এই যুদ্ধের ফযীলতের জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিতে পারি। হুংকার দিতে পারি। স্বপ্ন দেখতে পারি অখন্ড ইসলামি ভূখন্ডের। মাগরিব থেকে মাশরিক - আবিশ্বজুড়ে সকল মুমিন মুসলিমই এমন স্বপ্ন দেখে। দেখতে পারে। এ যুদ্ধে অংশগ্রহণের তামান্না রাখে। রাখতে পারে। হাদীসের এমন সুসংবাদই আমাদেরকে উদ্দীপ্ত করে। এর বাইরে গিয়ে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর আইন, ফিতনা নির্মূলের আগ পর্যন্ত কিতাল, নির্যাতিত মুসলিমদের সাহায্যের জন্যেও আমরা যুদ্ধ করতে পারি। আমাদের আবেগ আর খায়েশের বশে না। বরং আল্লাহর কিতাব আর শরীয়তের হুকুম পালনের জন্যই। সুতরাং গাজওয়াতুল হিন্দ তো আমাদের ধর্মীয় বিষয়। ঈমানের অংশ। মজলুম উম্মাহকে সাহায্য করা তো আমাদের রবের হুকুম। ইসলাম প্রতিষ্টা তো আমাদের জন্য ফারদুল আইন। চাইলেও আমরা এমন মহান ব্রত থেকে বিরত থাকতে পারিনা।

এতো গেল এক পক্ষের বিষয়। কেবল ঈমানদীপ্ত মুসলিমদের কথা। উম্মাতের অতন্দ্র প্রহরীদের কথা। কিন্তু কিছু সুশীল অতিমাত্রায় উদারপন্থী মডারেট মুসলিমরা  কি শরীয়ত আর হাদীসের প্রতি এত বিশ্বাস রাখতে পারে! বাতিলের অস্ত্রের প্রদর্শণীর সামনে বিজয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে? মুশরিক মালাউন প্রভুদের চোখে চোখ রেখে বলতে পারে সারা জাঁহা হামারা, হিন্দুস্থান ভি হামারা? তারা কি পারে ডলার ও রুপীর ফোঁয়ারার সামনে নির্মোহ থাকতে। তাদের কি পাশ্চত্যের ধবল ধোলাই মস্তিষ্কের বাইরে একটি চিন্তাশক্তি সম্পন্ন মস্তিষ্ক আছে?

তাই তারা মুসলিমদের যুদ্ধ জিহাদে বিশ্বাস করতে ভয় পায়। হিন্দুদের বিরুদ্ধে কথা বলতে আত্মা দেহ থেকে যায় যায় ভাব। তারা শুধু ভবিষ্যত সংক্রান্ত হাজার বছর আগেকার এক ব্যক্তির হাদীসের ওপর ভরসা করতে আশ্বস্থ হয়না। তার ওপরে তারা দেখে অল্প কিছু বিচ্ছিন্ন মুসলিম এমন অসম আর অলীক যুদ্ধের কথা বলে। অপরদিকে সারা দুনিয়া তাদের বিপক্ষে।  তাই তারা এসকল গুরাবাদের দিকে ইশারা করে বলে কিছু মুসলিমরা উগ্রবাদী। সাম্প্রদায়ীক। ভিন্ন জাতির প্রতি বিদ্বেষী। শান্তি বিনষ্টকারী। হিন্দু-মুসলিম সম্পৃতির পথে অন্তরায়। এ জন্যেই আগে বেড়ে তারা সকল সমাধানকে পাশ কাটিয়ে শুধু যুদ্ধ জিহাদ নিয়ে পড়ে থাকে। লড়াই আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী। সন্ত্রাসী।

এসব নামধারী মুসলিমদের ওয়াশ হওয়া ব্রেইন আর কুফরী মিশ্রিত পৌত্তলিক চিন্তার বিষয়টি সুরাহা কিভাবে করবেন? কিভাবে তাদের চিন্তার বাতুলতা বুঝিয়ে দেবেন? গাজওয়াতুল হিন্দের সত্যিকারের বাস্তবতা এবং মালাউন হিন্দুদের আসল চেহারা যাবত না বুঝবে ততক্ষণ তারা ঈমানদার মুসলিমদের আশঙ্কার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেনা। তাই আজ আমরা তাদের চোখে ও বিবেকে ঘাঁ দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার সময়ে উপস্থিত হয়েছি। এখন সবকিছু উদ্ভাসিত হয়ে গেছে। কে আছ হও আগুয়ান, আছ শুনরে পাতিয়া কান।

হঠাৎ করেই অদ্য কিছু বিষয় যেন খুব দ্রুত ঘটতে শুরু করেছে। যে বিষয়গুলো ছিল সুপ্ত, অপ্রকাশিত, যার আশঙ্কায় উম্মতের গুরাবারা কত কত কাল ধরে উম্মতকে সতর্ক করে আসছিল- তারপর হঠাৎ কেমন যেন সেই বিষয়গুলো  উন্মোক্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন আর কোন  রাখঢাক থাকছেনা। শত্রু যেন তার মুখোশ খুলে ফেলেছে। আর গুরাবাদের আশঙ্কাকে বাস্তবে পরিণত করে উপমহাদেশ যেন ক্রমেই হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের গ্রাসে পরিণত হতে যাচ্ছে।
আশঙ্কার দিনগুলি খুব দ্রুত চোখের সামনে চলে এসেছে। যা ছিল কিতাবে, লেখায়, আলোচনায় বক্তব্যে, আশঙ্কায়- তা আজ যেন সুস্পষ্ট বাস্তবে চলে এসেছে!
রপুরো ভারতে আজ মুসলিমবিরুধী যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। জয় শ্রীরামের নারা লাগিয়ে সকল সনাতনি আবাল বৃদ্ধ বণিতার একটাই শ্লোগান-"জো না বোলে জয় শ্রী রাম, ভ্যেজ দ্যু ইসকো কবরস্থান"

আজ উপমহাদেশের যুদ্ধের দাবিতে এক পক্ষের হাঁকডাকের দিন পেরিয়ে নতুন দিন এসেছে। প্রেক্ষাপটে প্রতিপক্ষ হিন্দুরা দিব্যিই চলে এসেছে। রীতি মতো আয়োজন উৎসব করে। গুজরাট দাঙ্গার কসাই মোদী আজ সমগ্র হিন্দুদের নেতৃত্ব নিয়েছে। গরুর গোশত খাওয়ার অপরাধে মুসলিম হত্যাকারী, শ্রী রাম বলতে না চাওয়ায় মুসলিম ছাত্রী ধর্ষণকারী উগ্র হিন্দুদের সংগঠন বজরং শিবসেনা আজ ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। ইহুদীদের অন্যতম মিত্র ইসকন আজ দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ সামলানোর। যারা বাংলাদেশে প্রশাসনকে হিন্দুত্বকরণের কাজটি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে।

আজ ভারতে ভগবত সৈনিকদের মাহফিল হচ্ছে। হাজার হাজার নারী পুরুষরা "মুসলিম রুকখো, ইসলাম রুকখো" শ্লোগান দিচ্ছে। বক্তারা অখন্ড হিন্দু রাজ্যের বাণী শুনাচ্ছে। জয় শ্রী রামের মুহুর্মুহু শ্লোগানে প্রকম্পিত হিন্দুস্থানের আকাশ বাতাস। স্কুল কলেজ, মন্দির আশ্রম, মাঠ আর হাটে লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে বেজে উঠছে ধারালো তলোয়ারের ঝংকার। ব্রাহ্মণরা হুংকার দিয়ে বলছে "অখন্ড হিন্দু রাজ্য সেরেফ বাতু সে নেহী হ্যায়, বলকে বিস ম্যায় আয়েগা" - অখন্ড হিন্দু রাজ্য কেবল কথার কথা না, বরং ২০ সালেই আসতেছে। এভাবেই পুরো ভারত উত্থাল হয়ে উঠছে অখন্ড হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্টার লড়াইয়ের প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে। এ সংক্রান্ত ভিডিওগুলি ভাইরাল হয়েছে। যা আমাদের সংগ্রহে রয়েছে।

প্রতিটি স্কুল কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত যুদ্ধের জন্য শারীরিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। লাঠি, তলোয়ার আর রাইফেল চালানো শেখানো হচ্ছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায় একজন হিন্দু ধর্মগুরু অখন্ড হিন্দু রাজ্যের জন্য সকল হিন্দুদের ঘরে ঘরে হাতিয়ার রাখার কথা বলছে। সকল হিন্দুরা হাত উঁচিয়ে অস্ত্র প্রদর্শন করছে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় সবাই হাতিয়ার চালনার কসরত করছে। একটি শিশুও ছিল। যাকে জিজ্ঞেস করা হয় কেন অস্ত্র চালনা শিখছে। শিশুটি বলে মুসলিমদের প্রতিহত করতে৷ জিজ্ঞেস করা হল মুসলিম কারা? সে বলল যারা গরু খায়, সন্ত্রাসীরা।
আরেকটি ভিডিওতে এক বিজেপি নেতা দাবি করছে ইসলাম এসেছে দেড় হাজার বছর আগে। আর সনাতনি ধর্ম পৃথিবীর পুরনো এবং মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কয়েক হাজার বছর পূর্বেই ছিল। তাই হিন্দু ধর্ম হল পিতা এবং ইসলাম হল বেটার মত। বেটা কিভাবে পিতার ওপর প্রাধান্য পেতে পারে? কর্তৃত্ব তো বেটার ওপর পিতার থাকবে(!)
অখন্ড হিন্দু রাজ্যের অংশ বানাতে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে তাদের অনুগত সরকারকে ক্ষমতায় স্থায়ী করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানকল্পে ভারতীয় সেনাবাহিণীকে হস্তক্ষেপের অধিকার দিয়ে চুক্তি হয়েছে।
ইসকনের স্বামীবাগের মন্দিরের পক্ষ থেকে যে চিঠিটি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার 15 minutes ভিডিওতে প্রকাশ করেছে সেখানে অখন্ড হিন্দু রাজ্য গঠন, বাংলাদেশকে দখল, সর্বক্ষেত্রে ভারতীয় এজেন্ট নিয়োগ, এদেশীয় হিন্দুদের আর্থিক ও আদর্শিক প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্ঠায় এজেন্ট রিক্রোটসহ স্কুলে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদেরকে জয় শ্রী রাম বলানো, মাসজিদে আগুন লাগানো, নামাজের সময় গান বাজনা চলাকালীণ ইমাম বাধা দিলে ইমামকে হত্যা, প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে মুসলিম মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া এবং ২০-২১ সালের মাঝে অখন্ড হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা, হিন্দুত্ববাদের জন্য নিবেদিত শ্যামলি পরিবহণ ও শ্যামলি গ্রুপের মালিকের বাংলাদেশ ভারত এক হওয়ার জন্য কাজ করার ঘোষণা কেবল সে আশঙ্কারই কিছু বাস্তব নমুনা যা উম্মতের সচেতন মুসলিমরা মুশরিক মালাউনদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে আসছিল বহুকাল ধরেই।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ আগষ্ট শুক্রবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জুমু'আর নামাজের সময় হিন্দুরা ঢাকার সকল প্রশাসনিক অঞ্চলে পদযাত্রার নামে যে মহড়া দেয় তাতে একজন উগ্র হিন্দু যোবকের লাইভ ভিডিও জনসমক্ষে আসে। আমি তার কিছু কথা এখানে উদ্ধৃত করছি। যদিও তা প্রকাশ করার মানসিক অবস্থায় আমি নেই এবং তা বরদাশত করা খুবই ভারী কাজ প্রত্যেক মুসলিমের জন্যই। একই সাথে ভয় ও আতংকেরও-

"আমি কুমার, আজ খুশির দিন, এই অপশক্তি, অপসংস্কৃতি, আরব থেকে চলে আসা এ অসভ্য কুসংস্কার, যে সংস্কৃতি সারা বিশ্বকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাশিয়া থেকে ব্রিটেইন, আমেরিকা থেকে জাপান, পৃথিবীর কোন অংশই এই শয়তানরা বাদ রাখছেনা। এই শয়তানদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। এরা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমাদের জাগিয়ে তুলেছে। আমরা কখনো হিন্দুত্ত্ববাদী ছিলাম না। এরাই আমাদের এত বড় হিন্দুত্ববাদী করে তুলেছে। এরা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আমাদের জাগিয়ে তুলেছে। যখন বাঘকে সিংহকে জাগিয়ে তুলেছে তখন তাদেরকে গ্রাস করে ছাড়ব। তাদের আল্লাহ, কেউ, কেউ আমাদের হাত থেকে বাচাতে পারবেনা......ট্রাম্প যেমন ইরাক, ইরান, আফগানকে শেষ করেছে আমরাও ওদেরকে শেষ করব....." (নাউযুবিল্লা)

এক কথায় চার মিনিট ষোলো সেকেন্ডের পুরো ভিডিওটি ছিল আবর্শিক চেতনার, আবেগের, রাগের, ক্রোধের, হুংকারের। আল্লাহ, রাসূল, জান্নাত, হুর সবকিছু নিয়েই বিদ্রুপ আর ব্যাঙ্গ করে হুংকার দেয়া হয়েছে। কোন কিছুর আশা আর সাহায্যই হিন্দুদের হাত থেকে মুসলিমদের বাচাতে পারবেনা...(!)

এই জন্মাষ্ঠমীতেই সরকার দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী উবায়দুল কাদের বলেছে " যারা হিন্দুদের শত্রু তারা জাতির শত্রু"।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধ হলে বাংলাদেশ ভারতের পক্ষে থাকবে ঘোষণা দিয়েছে কত আগেই। কিছু দিন আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসলে বাংলাদেশ ভারতের সাথে আছে বলে স্বীয় অবস্থান পুণঃব্যক্ত করেছে।

আগরতলা বিমান বন্দরের জন্য ভারতের জায়গা দাবি, খুলনা থেকে সিলেট ভারতের, আসামের ৪০ লক্ষ মুসলিম বাংলাদেশের নাগরিক, তাই তাদের নিতে হবে নতুবা সিলেট তাদের জন্য ভারতকে দিয়ে দিতে হবে দাবীকারী দেশটি  কেবল গত মাসে প্রায় ৩ লক্ষ ভারতীয় নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

ভারতের সেলিব্রেটি তারকারা সেনাবাহীণীতে অংশগ্রহণ করে সামরিক কার্যক্রমের ব্যাপারে হিন্দুদের আগ্রহী করে তুলছে। ইতিমধ্যে স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদায় থাকা মাজলুম কাশ্মিরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরকে ভারত পূর্ণ দখলে নিয়েছে। রাষ্ট্রটিতে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে। যার ফলে প্রতি ১০ জন কাশ্মিরির বিপরীতে একজন ভারতীয় সেনা রয়েছে। ব্যাপক ধর-পাকড় এবং গণহত্যার মত ঘটনা ঘটছে। বিদেশি সাংবাদিকরা এসব ঘটনার ব্যাপারে রিপোর্ট করছে এবং পুরো কাশ্মির সব রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে পরিস্থিতি অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আর ঠিক এ সময়ে কাশ্মিরে অবস্থানরত সৈন্যদের একটি ব্যাটেলিয়নে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা 'ধোনি' প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও উৎসাহিতকরণের জন্য যোগ দিয়ে পুরো বিশ্বমানবতাকে লজ্জিত করেছে।

এ সকল বিষয় এখন স্পষ্ট এবং যুদ্ধের অপর পক্ষ হিসাবে হিন্দুদের এমন উত্থান যা থেকে উদাস থাকার কোন সুযোগ নেই। গাজওয়াতুল হিন্দের খেলোয়ারেরা মাঠে নিজ নিজ পক্ষে অবতীর্ণ হওয়ার পরও যারা বুঝে না বুঝার ভান করে, দেখে না দেখার ভান করে তাদের জন্য দুনিয়া আখিরাতে লাঞ্চনা।  হে মূর্খ শিয়ালের দল, তোমরা যুদ্ধে ইসলামের পক্ষে কাতারবন্দী না হও, তবুও আর মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করে, মিথ্যা বুলি, ঘুম পাড়ানির মিষ্টি গান দিয়ে তাদের ঘুম পাড়িয়ে রেখোনা!

কিন্তু আমাদের মূল বিষয় এটা নয়। আমরা  প্রশ্ন করতে চাই- হিন্দুরা রাম রাজ্য প্রতিষ্টার জন্য লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি কোথায় পেল? তাদের এমন একটি ভয়ংকর যুদ্ধের প্রস্তুতি নেবার মত সাহসের পেছনে কারণ আসলে কি? কিসের লাভে, লোভে তারা এমন মৃত্যুঘেরা বিপদভরা পথ বেছে নিয়েছে?

রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) কি হিন্দুত্ববাদের এই নগ্ন ধামাকার কথা জেনে গিয়েই মুসলিমদের এ যুদ্ধ মোকাবিলায় উৎসাহিত করেছিলেন!

আজকে উপমহাদেশে হিন্দুত্ববাদের উত্থান তো তবে আমাদের ঈমানকেই দৃঢ় করে! আমাদের অবস্থানকেই সঠিক বলে সত্যায়িত করে! সুতরাং গাজওয়াতুল হিন্দ এখন প্রতিপক্ষের দিক থেকেও বাস্তব রুপ পরিগ্রহ করেছে। গাজওয়াতুল হিন্দ এখন  আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে।

শেষ করছি একজন আলিম, আরিফ, উম্মাহর জন্য ব্যথিত প্রাণ দরবেশতুল্য এক মুজাহীদের কবিতা দিয়ে-

"ভেড়ার পাল মিলে আজ সতত হারিয়ে গেছে যেন মুমীন মহৎ,
কষ্টেরা ভীড় করে নোনা জলে, চায়না কেহ ফিরে অভাগা বলে?
টেকনাফ তোতোঁলিয়া রুপসা পাথারিয়া, ঘুরে ঘুরে দেখা হল চোখ মেলিয়া-
ফেলানি, নুসরাত, বেলালের রক্তিম কান্না, বদলা নিতে চাই আজ উসামা মুছান্না।

হায়দারি হাঁক দিয়ে আলোকের ঝংকার,
জেগে উঠো মুমিনেরা দাও আজ হুংকার,
ত্বগুতের পথে পথে দেখ জুলুমের রক্ত, তরবারির খাপ খোল আজ গাজওয়ার ওয়াক্ত।

আরাকান কাশ্মির উইঘুর কাবুল, পৃথিবীর সবখানে মানবতা ব্যাকূল,
এখনো তুমি খোজো খানকার সুখ, দরবারি পীরেরা করবে দূর আত্মার অসুখ(!)

আমি ভেবে হয়রান আমাকে নিয়ে, হিন্দের গাজওয়া হোক শুরু মোর রক্ত দিয়ে,
রক্তের সিঁড়ি ছাড়া দ্বীনের ঝান্ডা হয়নিকো উড্ডীন, ঘুম ভাঙো উঠো জেগে যুগের সালাহুদ্দীন!!!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হাফেজ মাহমুদকে দেখতে 75000 টাকা নিয়ে হাসপাতালে জননেতা শহিদুল ইসলাম বাবুল

চিকিৎসাধীন হাফেজ মাহমুদ এখন বাড়িতে কেন?

ইমামের টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় চাকরি গেল ইমামের।

নগরকান্দায় গ্রাম্য কাইজায় মাদ্রাসায় হামলা"