যেভাবে_তুলে_নেওয়া_হয়েছে মুফতি রেজওয়ান রফিকীকে

যেভাবে_তুলে_নেওয়া_হয়েছে, মুফতী রিজওয়ান রফিকী হাফীজাহুল্লাহুকে


এইচ,এম ইমরান কাজী
জার্নালিষ্ট তাওহীদ নিউজ২৪

মুফতি রিজওয়ান রফিকীর বড় ভাই মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী গণমাধ্যমকে
জানান, ‘মারকাজুন নূর গাজীপুর নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে কিতাব অধ্যায়নরত অবস্থায় ছিলেন মুফতি রিজওয়ান রফিকী। হঠাৎ মাদরাসার সামনে একটি গাড়ি আসে। গাড়িতে আরোহীদের মধ্যে দুজন ডিবি পোশাকধারী ও তিনজন ছিলেন ফরমাল ড্রেসে। ডিবি পোশাক পরিহিত দুজনের সাথে আর্মস ছিল। তারা মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করেননি। বাকি তিনজনের সাথে কোন প্রকার অস্ত্র দেখা যায়নি।’

‘ফরমাল ড্রেসে থাকা তিনজন মুফতি রিজওয়ান রফিকী অফিসে প্রবেশ করেন। সেই মুহূর্তে মুফতি রিজওয়ান রফিকী কিতাব অধ্যায়নরত ছিলেন সেই। তিন জনের একজন মুফতি রিজওয়ান রফিকীকে বলেন, আপনি আমাদের সঙ্গে চলুন। আপনাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার আছে। উত্তরে মুফতি রিজওয়ান রফিকী বলেন, ‘আমার তো সেরকম জামাকাপড় এই মুহূর্তে কাছে নেই, আমি বরং ফোন করে জামা আনার ব্যবস্থা করি। কিন্তু লোকটি ফোন করতে বাধা দেন।’ বললেন মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী ।

‘ডিবি পরিচয়ধারীরা মুফতি রফিকীকে বলেছেন, কোন সমস্যা হবেনা, আপনি সাধারন পোশাকেই আমাদের সঙ্গে চলুন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে। তখন মুফতি রিজওয়ান রফিকীর কাছে যে মেহমান এসেছিলেন তিনিও তার সঙ্গে যেতে চাইলেন। যেহেতু সামান্য জিজ্ঞাসাবাদ মাত্র। কিন্তু আগত লোকটি (ডিবি পরিচয়ধারী) তা মেনে নেননি। মেহমানকে উদ্দেশ্য করে লোকটি বললেন, আপনি এই গাড়িতে নয় পরের গাড়িতে আসুন।’ যোগ করেন তিনি।

মুফতি আব্দুল্লাহ সালেহী আরো জানান, এর কিছুক্ষণ পরেই আমরা থানায় যোগাযোগ করি। থানা থেকে আমাদেরকে বলা হলো- এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো রকম ইনফরমেশন নেই। তার পরেই আমরা ছুটে যাই ডিবি অফিসে। সেখানেও কোনরকম তথ্য পাইনি।

ডিবি অফিসের কর্মকর্তারা জানান, এই মুহূর্তে আমাদের দুটি টিম ফিল্ডে রয়েছে। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না।

এ বিষয়ে নগরীর বোর্ড বাজার থানায় যোগাযোগ করা হলে কোনো তথ্য জানেন না বলে জানানো হয়।
বড়দের কাছে আবেদন  এখনই যদি সোচ্চার না হন তাহলে সকলেরই এই বয়াবহ পরিস্থিথিতির শিকার হকে হবে 

কি অপরাধ ছিল তাঁর?কেন-ই বা তাঁকে এভাবে ভয়ংকর স্টাইলে তুলে নেয়া হলো?ইসলাম বিকৃতিকারী কুফুরী সংগঠন হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্যই কি আজ তাঁর এ অবস্থা?

খোদার কসম!খোদার কসম!খোদার কসম।এখনি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দু'দিন আগপিছ আপনি আমারও রিজওয়ান রফিকীদের ভাগ্য বরণ করতে হবে।তখন আফসোস করেও লাভ হবে না।
সুত্র' ছোট ভাই রেজওয়ান রফিকির
রমজান রফিকী

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হাফেজ মাহমুদকে দেখতে 75000 টাকা নিয়ে হাসপাতালে জননেতা শহিদুল ইসলাম বাবুল

চিকিৎসাধীন হাফেজ মাহমুদ এখন বাড়িতে কেন?

ইমামের টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় চাকরি গেল ইমামের।

নগরকান্দায় গ্রাম্য কাইজায় মাদ্রাসায় হামলা"