এবার টার্গেট ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ

এবার টার্গেট ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ
এবার টার্গেট ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ


এইচ,এম ইমরান কাজী

জার্নালীষ্ট: তাওহীদ নিউজ২৪

বাবরী মসজিদের অধ্যায় খতম । সেই সঙ্গে মুছে গেলো ৫শ বছরের ইতিহাস। ভারতের হিন্দু নেতারা বলছেন, শুধু মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোই বড় কথা নয়, আমাদের পরাজয়ের ইতিহাস মুছে দিয়ে সেখানে জয়ের নিশান উড়ানোই বড় কথা । ইতিহাস বদলের সেই লড়াই সবে শুরু।

এজন্য তাদের এবারের টার্গেট সাড়ে ৬শ বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ। এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ ।

৫ শ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে রাম মন্দির নির্মানের রায় পেয়ে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় নতুন করে জেগে উঠেছেন। তারা বলছেন,এ লড়াই ছিল হিন্দু সমাজের শান্তিপূর্ণ ভাবে জাগরণের লড়াই। পরাজয়ের গ্লানি মুছে দিয়ে বিজয়ের ইতিহাস রচনার লড়াই । সে লড়াই এখনি শেষ হয়নি। সামনে আরো অনেক লড়াই বাঁকী আছে ।

১০ নভেম্বর রোববার ভারতের যুগশঙ্খ পত্রিকায় হিন্দু নেতাদের উদ্ধৃতিসহ প্রকাশিত প্রতিবেদনে হিন্দু নেতারা বলছেন, সামনের লড়াইগুলোতেও জিততে হবে। এবার শুরু  হবে কাশী-মথুরা জয়ের লড়াই । শুরু হবে আরো ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধারের লড়াই। রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান থামবে না।

বাবরী মসজিদ মামলার রায়কে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে এবার তারা একের পর এক টার্গেটের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদী নেতারা দাবি করছেন, ভারতে আরো ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধার করতে হবে। এবার শুরু হচ্ছে সেই ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধারের অভিযান। সেজন্য পরবর্তী টার্গেট পশ্চিমবঙ্গের আদিনা মসজিদ।

ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত। এর পেছনের দেয়ালে প্রাপ্ত শিলালিপি অনুসারে এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ কর্তৃক নির্মিত। ভারতের হিন্দুরা দাবি করে আসছেন এখানে কোন এক কালে নাকি তাদের মন্দির ছিল।

অহিংসা পরম ধর্ম-একথা বলে যিনি পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছেন,সেই মহাত্মা গান্ধীকে যারা ধর্ম নিরপেক্ষ বলে মনে করতেন, তারা হয়তো জানেন না যে, এই গান্ধীই ভারতে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে গেছেন। এখনকার আরএসএস,বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং বিজেপি গান্ধীর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই করছে। বাবরী মসজিদ মামলার রায়ের পর তারা বলছেন, এই রায়ে গান্ধীর রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন একধাপ এগিয়ে গেলো।

পশ্চিমবঙ্গের রামশিলা আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন,আজকের রায়ে গান্ধিজির রামরাজ্যের স্বপ্ন সফল হল।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় পরবর্তী টার্গেট অনান্য হিন্দু ধর্মীয় স্থানকে উদ্ধার করার কথা জানিয়ে বলেন,‘ আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী, মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা। ভিএইচপি এই কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই করতে চায়।

স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন, এই রায়ে সারা ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজের জয় হয়েছে। ‘৪০০ বছরের পরাধীনতার চিহ্ন মুছে গেল। বিশ্বের সব হিন্দুদের শুভ কামনায় এবার রামমন্দির পুনর্নির্মিত হবে। জয়-পরাজয় নয় পুনরুদ্ধারের বিষয়টা ভারতের আত্মা চাইছিল।

হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য  দাবি করেছেন,‘ বিদেশি আক্রমণকারীদের চিহ্ন মুছে ফেলে যেভাবে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করা হল, সেইভাবেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের আদিনাথ মন্দির ( যেখানে আদিনা মসজিদ ) এর মুক্তি চাই।’

এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন,‘ সুপ্রিম কোর্টের এই যুগান্তকারী রায়কে স্বাগত জানাই। এই জয় ভারতের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার যুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক মাইল ফলক।

তিনি উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, লড়াই আরও বাকি আছে, তাই আত্মসন্তুষ্টির কোনও অবকাশ নেই। এই লড়াই কেবলমাত্র একফালি জমি দখলের লড়াই নয়, হিন্দুর এই লড়াই বিদেশি আক্রমণকারীদের দাসত্বের মানসিকতা থেকে নিজেদের মুক্ত করার লড়াই। আজকের এই জয়ের উপলব্ধি ভারতের মাটির উপরে হিন্দুদের প্রশ্নাতীত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে হিন্দুদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

সম্পাদকীয় নোট : প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবিটি ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদের ।এবার টার্গেট ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ
- এফ শাহজাহান

বাবরী মসজিদের অধ্যায় খতম । সেই সঙ্গে মুছে গেলো ৫শ বছরের ইতিহাস। ভারতের হিন্দু নেতারা বলছেন, শুধু মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোই বড় কথা নয়, আমাদের পরাজয়ের ইতিহাস মুছে দিয়ে সেখানে জয়ের নিশান উড়ানোই বড় কথা । ইতিহাস বদলের সেই লড়াই সবে শুরু।

এজন্য তাদের এবারের টার্গেট সাড়ে ৬শ বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ। এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ ।

৫ শ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে সেখানে রাম মন্দির নির্মানের রায় পেয়ে ভারতের হিন্দু সম্প্রদায় নতুন করে জেগে উঠেছেন। তারা বলছেন,এ লড়াই ছিল হিন্দু সমাজের শান্তিপূর্ণ ভাবে জাগরণের লড়াই। পরাজয়ের গ্লানি মুছে দিয়ে বিজয়ের ইতিহাস রচনার লড়াই । সে লড়াই এখনি শেষ হয়নি। সামনে আরো অনেক লড়াই বাঁকী আছে ।

১০ নভেম্বর রোববার ভারতের যুগশঙ্খ পত্রিকায় হিন্দু নেতাদের উদ্ধৃতিসহ প্রকাশিত প্রতিবেদনে হিন্দু নেতারা বলছেন, সামনের লড়াইগুলোতেও জিততে হবে। এবার শুরু  হবে কাশী-মথুরা জয়ের লড়াই । শুরু হবে আরো ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধারের লড়াই। রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান থামবে না।

বাবরী মসজিদ মামলার রায়কে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে এবার তারা একের পর এক টার্গেটের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদী নেতারা দাবি করছেন, ভারতে আরো ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধার করতে হবে। এবার শুরু হচ্ছে সেই ৩২ হাজার মন্দির উদ্ধারের অভিযান। সেজন্য পরবর্তী টার্গেট পশ্চিমবঙ্গের আদিনা মসজিদ।

ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদ  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত। এর পেছনের দেয়ালে প্রাপ্ত শিলালিপি অনুসারে এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ কর্তৃক নির্মিত। ভারতের হিন্দুরা দাবি করে আসছেন এখানে কোন এক কালে নাকি তাদের মন্দির ছিল।

অহিংসা পরম ধর্ম-একথা বলে যিনি পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছেন,সেই মহাত্মা গান্ধীকে যারা ধর্ম নিরপেক্ষ বলে মনে করতেন, তারা হয়তো জানেন না যে, এই গান্ধীই ভারতে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে গেছেন। এখনকার আরএসএস,বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং বিজেপি গান্ধীর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই করছে। বাবরী মসজিদ মামলার রায়ের পর তারা বলছেন, এই রায়ে গান্ধীর রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন একধাপ এগিয়ে গেলো।

পশ্চিমবঙ্গের রামশিলা আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন,আজকের রায়ে গান্ধিজির রামরাজ্যের স্বপ্ন সফল হল।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশ্বহিন্দু পরিষদের নেতা স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় পরবর্তী টার্গেট অনান্য হিন্দু ধর্মীয় স্থানকে উদ্ধার করার কথা জানিয়ে বলেন,‘ আমাদের পরবর্তী টার্গেট কাশী, মথুরাসহ দেশের ৩২ হাজার মন্দিরকে উদ্ধার করা। ভিএইচপি এই কাজ শান্তিপূর্ণভাবেই করতে চায়।

স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন, এই রায়ে সারা ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজের জয় হয়েছে। ‘৪০০ বছরের পরাধীনতার চিহ্ন মুছে গেল। বিশ্বের সব হিন্দুদের শুভ কামনায় এবার রামমন্দির পুনর্নির্মিত হবে। জয়-পরাজয় নয় পুনরুদ্ধারের বিষয়টা ভারতের আত্মা চাইছিল।

হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য  দাবি করেছেন,‘ বিদেশি আক্রমণকারীদের চিহ্ন মুছে ফেলে যেভাবে রাম জন্মভূমিকে মুক্ত করা হল, সেইভাবেই মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি, বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের আদিনাথ মন্দির ( যেখানে আদিনা মসজিদ ) এর মুক্তি চাই।’

এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন,‘ সুপ্রিম কোর্টের এই যুগান্তকারী রায়কে স্বাগত জানাই। এই জয় ভারতের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার যুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক মাইল ফলক।

তিনি উল্লাস প্রকাশ করে বলেন, লড়াই আরও বাকি আছে, তাই আত্মসন্তুষ্টির কোনও অবকাশ নেই। এই লড়াই কেবলমাত্র একফালি জমি দখলের লড়াই নয়, হিন্দুর এই লড়াই বিদেশি আক্রমণকারীদের দাসত্বের মানসিকতা থেকে নিজেদের মুক্ত করার লড়াই। আজকের এই জয়ের উপলব্ধি ভারতের মাটির উপরে হিন্দুদের প্রশ্নাতীত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে হিন্দুদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে।

সম্পাদকীয় নোট : প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবিটি ঐতিহাসিক আদিনা মসজিদের ।

মন্তব্যসমূহ

এই রায় মানিনা মানব না

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হাফেজ মাহমুদকে দেখতে 75000 টাকা নিয়ে হাসপাতালে জননেতা শহিদুল ইসলাম বাবুল

চিকিৎসাধীন হাফেজ মাহমুদ এখন বাড়িতে কেন?

ইমামের টাকা আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় চাকরি গেল ইমামের।

নগরকান্দায় গ্রাম্য কাইজায় মাদ্রাসায় হামলা"