লম্বা লকডাউনে! ক্ষতিগ্রস্ত হিফজ ছাত্রদের ব্যাপারে জরুরী কিছু কথা!
চেয়ারম্যান, হাফেজ ক্বারী হাদিউল ওয়ারা ফরিদপুরী
...
বাদ তাসলীম সম্মানিত মুহতারাম
লম্বা লকডাউনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হিফজ বিভাগের ছাত্ররা। সব বিভাগের ছাত্ররাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যদি ব্যাপকভাবে বলি।
তবে হিফজ বিভাগের বিষয়টা একেবারে আলাদা।
এক্ষেত্রে ছাত্রদের ইয়াদ ধরে রাখার জন্য অভিভাবকের পাশাপাশি উস্তাদদেরও কিছু ভুমিকা পালন করা একান্ত জরুরী।
মাদ্রাসা তো ছুটি, উস্তাদরাও ছাত্রদের কাছে নেই।
আবার বহির্বিশ্বের মতো ভিডিও কনফারেন্সে ছাত্রদের আমরা পাঠদান করাতে পারবো, সেটাও হবেনা,সবার পক্ষে সম্ভব ও না।
(যদিও কিছু প্রতিষ্ঠান এই সিস্টেমটা ফলো করছেন, শুনলাম)।
এক্ষেত্রে আমার ভাবনা হলো,
-সমস্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের ফোন নাম্বার সংগ্রহে রাখা।
-প্রতিদিন না হোক, দুদিন অন্তর অন্তর কয়েকমিনিটের জন্য হলেও ছাত্রদের হালত জানা।
-মাঝেমাঝে ছাত্রের সাথে কথা বলা, তার কোন অপরাধ প্রকাশ পেলে ফোনে মৃদু শাসন করা, তাম্বীহ করা।
-পড়ার রুটিন বাতলে দেয়া, মাঝেমাঝে ফোনে ছাত্রের তেলাওয়াত শুনা।
-বাবা-মাকে ছাত্রের ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি।
এ কাজগুলো মাদ্রাসার মুহতামীম সাহেব কিংবা শ্রেণী জিম্মাদাররা করলে ভালো হয়।
এক্ষেত্রে গায়রত বা নিজের সম্মানের চিন্তা বাদ দিতে হবে, প্রত্যেকটা ছাত্রই আমার সন্তান।
সুতরাং ওদের যেন কোন ক্ষতি না হয়, সেদিক খেয়াল রাখা একজন যোগ্য পিতা, যোগ্য উস্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।।
তবে ফোনে ছাত্রের খোঁজ নিতে গিয়ে আখলাকী কোন ত্রুটি যেন না হয়ে যায় আমাদের, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
যদি সম্ভব হয় প্রাতিষ্ঠানিক মোবাইল দিয়ে তদারকি করা ভালো। যেহেতু সামনে আরো লম্বা সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠান অফ থাকবে
যদি এই মহামারী আল্লাহ না হটান, সুতরাং বিষয়টা নিয়ে ভাবা উচিৎ।
আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন-আমিন।
মন্তব্যসমূহ