ফরিদপুর -ভাঙ্গা মহা সড়কে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা যানবাহন চলাচলের অযোগ্য।
এইচ,এম ইমরান কাজী: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বাঁশাগাড়ি-ভবুকদিয়া প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ধীরগতির কারনে এখন ধুলির সড়কে পরিনত হয়েছে। (এই দুই কিলোমিটার সড়ককে দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে)সড়কে প্রচুর ধূলিকণা উড়তে থাকায়, সড়কে যানবাহন চলাচলের সময় দেখলে মনে হয় প্রচন্ড শীতের দিনে ঘন-কুয়াশার মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে।সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারণে মাঝে মধ্যেই এ জায়গায় এক্সিডেন্টের মত ঘটনা অহরহ ঘটে। করোনা পরিস্থিতিতে কিছু দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ১ জুুন থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের এই দেড় কিলোমিটার সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় সড়কে এবং সড়কের দুই পাশে প্রচুর ধুলিকণা উড়তে থাকায় পথচারী ও এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্বাধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাঁশাগাড়ী এলাকায় সড়কের পাশে বাড়ীতে বসবাস করেন, এমন কয়েক জনের সঙ্গে সোমবার দুপুরে কথা হয়। এদের মধ্যে সৈয়দ আলী, আলী আক্কাছ, লাইলী বেগম, আবুল কালাম, সিরাজ মাতুব্বর জানান, সড়কের ধূলিকণার কারনে তারা বাড়ীতে নিরাপদে বসবাস করতে পারছেন না। তাদের বাড়ীর খাবার, কাপড়, আসবানপত্র সবই ধুলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধরাসহ সবাই শ্বাসকষ্ট সহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ডাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল দশা থাকলেও, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও স্থায়ী কোনো সমাধান পাইনি। এই দেড় কিলোমিটার সড়কে নিয়মিত পানি দিলে ধূলিকণা কমবে এবং স্থায়ী সমাধান করতে হলে সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করা জরুরী।
সড়ক বিভাগের ফরিদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও রমজানের কারনে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। সড়কের ধূলিকণা কমাতে, দুই এক দিনের মধ্যেই সড়কে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করবো। জুন মাসের মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য: এ সড়ক দিয়ে দৈনিক ছোট বড় কমপক্ষে সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করে।
সুত্র:justbdnews.com
মন্তব্যসমূহ