কোরআনের বাংলা অনুবাদক কে? মুফতী সৈয়দ যাকারিয়া ফারুকী
তাওহীদ নিউজ:-এদেশে ইসলাম ও মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য হয়েছে গভির ষড়যন্ত্র।এমন কি ইতিহাসের সংরক্ষক নামক কিছু অসাধু জালিমেরা ইসলামিক (হিস্টরি) ইতিহাস করেছে বিক্রিত।এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিত ইতিহাস হলো মানবজাতির সংবিধান পবিত্র আল কোরআনের বাংলা বঙ্গানুবাদ।
এখানে ইতিহাস বিক্রিত জালিমরা বলেছে যে,সর্বপ্রথম কুরআনের বাংলা অনুবাদক কোন মুসলিম নয়,এক হিন্দু।নাউযুবিল্লাহ।আসুন এবার সংক্ষিপ্ত ভাবে ইতিহাস চর্চা করে সঠিক তথ্য যেনে নিই।
ইংরেজদের সময় এই রকম অনেক মুসলমানদের সাফল্য হিন্দু ভাইদের নামে চলে গেছে!
বাঙ্গালিদের জীবনে হাজার বছর ধরে চলে আসা একটি ঐতিহাসিক বিকৃত এবং মিথ্যা ধারনা কোরআন মাজিদের বাংলা অনুবাদক গ্রীশ চন্দ্র সেন"।
সত্য ইতিহাসের বিকৃতি; প্রকাশ হয়ে গেলো অনুবাদক!
মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া ১৮০৮ সালে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন। এরপর ১৮৩৬ সালে বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মৌলভী নাঈমুদ্দীন।
গ্রীশ চন্দ্র সেন শুধু উক্ত অনুবাদকে পুস্তক আকারে সন্নিবেশ করেন, গ্রীশ চন্দ্র হচ্ছেন প্রকাশক।আর গ্রীশ চন্দ্র সেন এর প্রকাশ করার পিছনে ছিলো তার এক বড় লিপ্সা,তা হলে সে,এই পুস্তক প্রকাশিত করে তার মুনাফা ভোগ করবে। তাও সে সময়টা ছিল অনেক পরে, ১৮৮৬ সালে।
সুতরাং কুরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে মুখস্থ বিদ্যায় এতদিন যা জেনে আসছি, তা ঠিক নয়,বরং তা ছিলো এক মিথ্যা বানোয়াট বিক্রিত ইতিহাস। অর্থাৎ গ্রীশ চন্দ্র নন, বরং মৌলভী নাঈমুদ্দীনই পূর্ণাঙ্গ কুরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক। আর মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া হলেন বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফের অনুবাদক।
আরও বুঝুন, গ্রীশ চন্দ্র সেনের জন্ম ১৮৩৫ সালে এবং মৃত্যু ১৯১০ সালে। গ্রীশ চন্দ্রের জন্মেরও আগে অর্থাৎ ১৮০৮ সালে কুরআন শরীফের বাংলায় অনুবাদের কাজ শুরু করেন মাওলানা আমীর উদ্দীন বসুনিয়া। এরপর গ্রীশ চন্দ্র সেনের জন্মের এক বছর পরই অর্থাৎ ২৭ বসর পূর্বেই অনুবাদের কাজ শুরু হয়।এরপরে ১৮৩৬ সনে মৌলভী নাঈমুদ্দীন পূর্ণাঙ্গ কুরআন শরীফের বাংলা অনুবাদ সম্পন্ন করেন।আলহামদুলিল্লাহ।
আরবি জানেন না। আরবি ব্যাকরণ সম্পর্কে অবহিত নন এমন ব্যক্তি কুরআন অনুবাদ করেছে এমন প্রচার মূর্খতা বৈ কিছুই নয়।আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের ভ্রান্ত,মিথ্যা,বিক্রিত ইতিহাস থেকে হিফাজত করুন।আমীন!
মুফতী সৈয়দ যাকারিয়া ফারুকী
মন্তব্যসমূহ